সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে রোববার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে দরবার শরীফের পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করেই তারা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকেন। রোববার ঈদ উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সকাল ৯টায় দরবার শরীফ মাঠে ঈদের প্রথম জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ইমামতি করবেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে, এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।

দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, ১৯২৮ সালে মাওলানা ইসহাক (রহ.) সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুই ঈদ উদযাপনের প্রথা চালু করেন। তার অনুসারীরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একইসঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।

যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে

হাজীগঞ্জ উপজেলার: সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার: লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর।
মতলব উপজেলার: দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী।
এছাড়াও কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপিত হবে।