নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের অন্যান্য কয়েদিদের সঙ্গে নামাজ পড়তে দেয়নি। এই সিদ্ধান্ত জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইমরানের দলের নেতা-কর্মীরা এবং আদিয়ালা জেল ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা জেলের বিশেষ সেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার ঈদুল ফিতর কারাগারেই কাটালেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সোমবার কারাগারের কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের নামাজের বিশেষ আয়োজন করা হলেও তাতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি ইমরান খানকে।
নামাজ পড়তে না পারলেও কারা কর্তৃপক্ষ ইমরান খানকে ঈদের উপহার হিসেবে চার সেট নতুন পোশাক, এক জোড়া জুতা ও একটি কোমরকোট দিয়েছে। ঈদের দুদিন আগে আদালত তার সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেও প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে সেই সাক্ষাৎ সম্ভব হয়নি।
ইমরান খানকে ঈদের নামাজ আদায়ের অনুমতি না দেওয়ার ঘটনায় তার সমর্থক ও দলের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছে। সম্ভাব্য বিক্ষোভ প্রতিহত করতে আদিয়ালা কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারের আশপাশে ৮টি অতিরিক্ত চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে এবং প্রায় ২০০ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত