
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় কোনো সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছে না। তবে তিনি ভবিষ্যতে এমন হামলা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করেছেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি।
এটি তার গত সপ্তাহের মন্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যেখানে তিনি ভেনেজুয়েলায় মাদকবিরোধী অভিযান সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ওয়াশিংটনের দাবি, মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত অন্তত ১৪টি নৌকা ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে, এ অভিযানে ৬১ জন নিহত হয়েছেন। ট্রাম্প আগে নিশ্চিত করেছিলেন যে, তিনি সিআইএ-কে ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলেছে। সেখানে যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ এবং হাজারো সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে যুক্ত হবে ‘জেরাল্ড ফোর্ড’ নামের বিমানবাহী রণতরী।
রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম জানান, ট্রাম্প তাকে বলেছেন যে এশিয়া সফর শেষে ফিরে এসে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়াকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সামরিক অভিযান বিষয়ে আইনপ্রণেতাদের ব্রিফ করা হবে। এক নাম প্রকাশ না করা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কিছু বিকল্প পরিকল্পনা দিয়েছে, যার মধ্যে ভেনেজুয়েলার সামরিক স্থাপনা ও রানওয়েতে হামলার প্রস্তাবও রয়েছে।
ভেনেজুয়েলার বিরোধী দল, মানবাধিকার সংস্থা এবং প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ অভিযোগ করে আসছে যে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকার ও সেনাবাহিনী মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। তবে মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত আগস্টে মাদুরোর গ্রেপ্তারের তথ্য দিলে ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে, যা আগের পুরস্কারের দ্বিগুণ। এছাড়া মার্কিন বাহিনীর চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে কয়েকজন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, এসব অভিযান আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি
Leave a Reply