আজকের দ্রুতগতির দুনিয়ায় শিশুরা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখছে, তথ্য গ্রহণ করছে এবং মনোযোগ ও শক্তিশালী স্মৃতিশক্তির প্রয়োজন এমন কাজে ব্যস্ত। এসব কার্যকলাপের জন্য সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক পুষ্টি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের ভিত্তি গড়ে তোলে। যদিও জিনগত গঠন ও জীবনযাত্রা এতে ভূমিকা রাখে, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
বর্তমান ব্যস্ত জীবনযাত্রায় শিশুরা সহজলভ্য ও সুস্বাদু জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু এই ধরনের খাবার, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ও অপরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে শিশুদের দৈনন্দিন খাবারে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিকারী কিছু সুপারফুড যোগ করলে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
বাদাম দীর্ঘদিন ধরেই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য পরিচিত। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। রাইবোফ্লাভিন ও এল-কার্নিটিন মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমায়।
➡️ প্রতিদিন ৪-৫টি বাদাম ভিজিয়ে সকালে খাওয়ানো যেতে পারে। চাইলে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
আখরোট দেখতে ছোট মস্তিষ্কের মতো এবং এটি সত্যিই মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ডিএইচএ (এক ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড) যা জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ও স্ট্রেস কমায়। এছাড়া এতে থাকা পলিফেনল স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং শেখার ক্ষমতা উন্নত করে।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতীয় রান্নাঘরে ঘি অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মস্তিষ্কের কোষ গঠন ও কার্যকারিতায় সহায়তা করে। এছাড়া ভিটামিন A, D, E ও K স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক।
হলুদে থাকা কারকিউমিন স্মৃতিশক্তি উন্নত করে ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। এর প্রদাহ-নিরোধক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধে কার্যকর। এছাড়া এটি সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মাত্রা বাড়িয়ে মেজাজ উন্নত করে।
সঠিক মানের ডার্ক চকোলেট (৭০% বা তার বেশি কোকোযুক্ত) মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ও রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। তবে অতিরিক্ত চিনি সমৃদ্ধ মিল্ক চকোলেট পরিহার করা ভালো।
সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ নিশ্চিত করে তাকে আরও মনোযোগী ও স্মার্ট করে তোলা সম্ভব। তাই শিশুর দৈনন্দিন খাবারে এসব সুপারফুড যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত