সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া আড়াই লাখ ঘনফুটেরও বেশি পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। শনিবার সিলেট সদর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন বসতবাড়ি ও ক্র্যাশার মিল থেকে এসব পাথর জব্দ করা হয়।
সিলেট সদর উপজেলার ইউএনও খোশনূর রুবাইয়াৎ জানান, তিনি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে দুটি টিম অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছেন। তিনি বলেন, মহলদিক গ্রামে প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠানে ও ছোট ছোট স্তুপে পাথর মজুত পাওয়া গেছে, যা ধোপাগুল এলাকার ক্র্যাশার মিল থেকে এনে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক ও লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধভাবে লুট হওয়া প্রাকৃতিক সম্পদ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি এলাকা থেকে আরও ২ হাজার ৫০০ ঘনফুট সাদাপাথর জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও রতন কুমার অধিকারী।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ধলাই নদের উৎসমুখে সাদাপাথরের ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। প্রতিদিন শত শত নৌকায় পাথর পরিবহন ও নদীর তীর খুঁড়ে বালু উত্তোলন করা হতো, এতে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে দুদক ও প্রশাসন তৎপর হয়। এ প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট সাত দিনের মধ্যে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেয়। অভিযানে দেখা গেছে, এসব পাথর লুকিয়ে রাখা হয়েছে বসতবাড়ি, ক্র্যাশার মিল ও বিভিন্ন স্থানে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত