বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রিক যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক এ আদেশ দেন। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তৌহিদ আফ্রিদিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আনা হয়। প্রথমে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয় এবং পরে শুনানির সময় এজলাসে তোলা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান তৌহিদ আফ্রিদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষও সর্বোচ্চ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করে। তবে আসামি পক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার রাতে সিআইডির একটি দল বরিশাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে। তারও আগে গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আফ্রিদির বাবা বেসরকারি টেলিভিশন মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন এ মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গত শনিবার নাসির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার নথি অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর পাকা সড়কে আন্দোলনে যোগ দেন মো. আসাদুল হক বাবু। ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলি তার বুক ও শরীরের ডান পাশে লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর, ৩০ আগস্ট নিহত আসাদুলের বাবা জয়নাল আবেদীন যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় নাসির উদ্দিন সাথীকে ২২ নম্বর এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিকে ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।