ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখনও ৩৩ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জন আইসিইউতে এবং একজন লাইফ সাপোর্টে আছেন। গুরুতর অবস্থায় আরও ৮ জন ‘সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে’ ও ১৯ জন কেবিনে চিকিৎসাধীন। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ডে আছেন।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, সকল রোগীর শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাউকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি তবে চলতি সপ্তাহে কিছু রোগীকে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, দুর্ঘটনায় মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—বিশেষ কমিটি গঠন, হটলাইন চালু (সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত), আউটরিচ সেবা, ওয়ার্ডে বেড সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস-এর সঙ্গে সমন্বয়। ইতোমধ্যে এক রোগী সেখানে ভর্তি হয়েছে।
গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয় এবং বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৫ জন। এর মধ্যে সিএমএইচে ১১ জন ও মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ১ জন চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানসিক সহায়তা দিতে স্কুল ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ও বিমানবাহিনীর মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তিনটি ভবনে কাউন্সেলিং সেবা চালু করা হয়। ঘটনাস্থল দেখতে এখনও অনেকেই ক্যাম্পাসে আসছেন। শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ব্যাগ দেখে আবেগাপ্লুত হচ্ছেন।
স্কুলের গণিত শিক্ষক আবু জাফর জানান, সহপাঠীদের হারিয়ে শিক্ষার্থীরা এখনও শোকাহত। কাউন্সেলিং সেবায় শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও অংশ নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গতকাল একটি সমন্বয় সভায় মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তায় জাতীয় কর্মপন্থা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা বুধবার (৩০ জুলাই) চূড়ান্ত করা হবে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত