যশোরের ঝিকরগাছায় পূর্বের একটি মামলার জেরে এক পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে করার অভিযোগ উঠেছে। এর অংশ হিসেবে পরিবারের পাঁচ বছরের এক শিশুকে মক্তব থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে, যা শিশু অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে শিশুটির মা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের বেনেয়ালি কলোনি পাড়ায়।
অভিযোগ অনুযায়ী, পূর্বের একটি মেয়েলি ঘটনা নিয়ে মারামারির পর মামলা দায়ের করায় ওই পরিবারকে গ্রাম থেকে একঘরে করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তে পরিবারের শিশুকে মক্তব থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে মৌলিক শিক্ষা গ্রহণে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শিশুটির মা ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত দুই বছর ধরে তার মেয়ে গদখালী সদিরালী গ্রামের বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কেন্দ্রীক মক্তবে পড়াশোনা করছিল। কিন্তু গত রোববার মসজিদ কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাশেম ও ক্যাশিয়ার শওকত আলী তাকে মক্তবে যেতে নিষেধ করেন।
নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইলে মক্তবের শিক্ষকরা জানান, কমিটির চাপের মুখে তারা শিশুটিকে পড়াতে পারছেন না। শিক্ষকদের ভাষ্য, “আমরা পড়ালে আমাদের চাকরি থাকবে না।”
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার শওকত আলী বলেন, “ওই পরিবার গ্রামের চারজন যুবকের নামে মিথ্যা মামলা করেছে। এজন্য গ্রামের মানুষ তাদের একঘরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে বাচ্চাটিকে মক্তবে না পড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এ ঘটনায় ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।