বাংলাদেশের কৃষিকে জলবায়ু সহনশীল ও টেকসই করতে মাঠ পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট (সিএসএ-ডব্লিউএমপি)’ বাস্তবায়ন করছে সরকার।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে দেশের ১৭টি জেলার ২৭টি উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ১০৬ কোটি ৭.৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ৮৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
আইএমইডি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৪৭.৩৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার কৃষক সরাসরি এবং আরও ৫১ হাজার কৃষক প্রযুক্তি ও চাষ পদ্ধতি দেখে উপকৃত হয়েছেন।
প্রকল্পের আওতায় স্যাটেলাইট, ড্রোন, জিআইএস ও ডিজিটাল অ্যাপ ব্যবহারের পাশাপাশি চালু হয়েছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ফলবাগান, সর্জান পদ্ধতি, ভাসমান বেড, পলিনেট হাউজ, ভার্মি কম্পোস্ট, ড্রিপ ইরিগেশন ও সৌর সেচ ব্যবস্থা।
প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ খন্দকার মুহাম্মদ রাশেদ জানান, অধিকাংশ উপজেলায় শস্য নিবিড়তা ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণ, সার ছিটানো এবং হিলি এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনার কাজও শুরু হয়েছে।
এই প্রকল্প কৃষির আধুনিকায়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের আয় বাড়িয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষির ভিত্তি তৈরি করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।