গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ঢাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর রাজপথে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
সর্বশেষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (১৭ মে) ইডেন মহিলা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত কেবল নাম প্রস্তাব ছাড়া তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
পাঁচ দফা দাবি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা তাদের ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন:
আগামী রবিবার (১৮ মে) এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগের পর সেশনজট নিরসন এবং সামগ্রিক একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য একটি সুস্পষ্ট অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের “ভুতুড়ে ফল” সমস্যার সমাধান, অতিরিক্ত ফি আদায় এবং অন্যান্য অসঙ্গতিগুলোর দ্রুত সমাধান করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা, লোগো ও মনোগ্রাম প্রকাশ করতে হবে।
আগামী ১৬ জুনের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করতে হবে এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, “যদি আগামী রবিবারের (১৮ মে) মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি না করা হয়, তাহলে ১৯ মে থেকে আমরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।”