মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চাইলে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন। তবে এর জন্য শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেইনকে ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টা থেকে সরে আসতে হবে।
হোয়াইট হাউজে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প আরও মন্তব্য করেন, ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ আর ফেরত পাবে না ইউক্রেইন। ২০১৪ সালে মস্কো উপদ্বীপটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে নেয়।
এর আগে শুক্রবার আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকের পর তিনি যুদ্ধবিরতির দাবি বাদ দিয়ে স্থায়ী শান্তি চুক্তির আহ্বান জানান। রোববার ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে পুতিন ইউক্রেইনের জন্য ‘ন্যাটো-ধাঁচের’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে সম্মত হয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেইনের ন্যাটো সদস্যপদের বিরোধিতা করে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
রোববার রাতে নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, “ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে যুদ্ধ প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করতে পারেন, অথবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। স্মরণ করুন কীভাবে এটি শুরু হয়েছিল—ওবামা ক্রাইমিয়াকে দিয়ে দিয়েছিলেন, সেটি আর ফেরত আসবে না। আর ইউক্রেইন ন্যাটোতে যাচ্ছে না। কিছু জিনিস কখনোই পরিবর্তিত হয় না।”
এদিকে জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার আগে ন্যাটো দেশগুলো কিইভের সদস্যপদ পাওয়াকে ‘অপরিবর্তনীয় পথ’ বলে ঘোষণা দিয়েছিল। ইউক্রেইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে জেলেনস্কির সঙ্গে যোগ দেবেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। সেখানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভ্যান ডার লায়েন উপস্থিত থাকবেন। তবে তাদের মধ্যে কারা হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।
নিজের সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প আরও বলেন, “আগামীকাল হোয়াইট হাউজে বড় দিন! একসঙ্গে এতজন ইউরোপীয় নেতা এর আগে কখনো আসেননি। তাদের আতিথ্য দিতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত।”
সংক্ষিপ্ত নোটিশে এতজন রাষ্ট্রপ্রধানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঘটনা সাম্প্রতিক ইতিহাসে বিরল। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে হোয়াইট হাউজে একটি জরুরি বৈঠক হতে যাচ্ছে, যা ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের প্রতিফলন।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত