দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির পূর্ণাঙ্গ ২৮ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেছে। চাকমা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, জুলাইয়ে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ প্যানেল গঠিত হয়েছে।
এদিকে এখনো পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করতে পারেনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তবে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
স্বতন্ত্র প্যানেল ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন উমামা ফাতেমা। বামপন্থি সংগঠনগুলোর সম্মিলিত প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়বেন ২০১৯ সালে শামসুন নাহার হলের নির্বাচিত ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)–এর পক্ষ থেকেও প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মোট ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গতবার ছিল ২৫টি পদ, তবে নতুন তিনটি পদ যুক্ত হওয়ায় এবার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮। হল সংসদের ১৩টি পদ অপরিবর্তিত রয়েছে। ১৮টি হলে মোট ১,২২৬ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, ১২ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম চলে। এই সময়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যাচাই-বাছাই শেষে ২১ আগস্ট দুপুর একটায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯,৭৭৫ জন।
ছাত্রদলের প্রার্থীরা ছাত্রী হলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধার অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনও করেন ঢাবি শাখা ছাত্রদলের নেতারা।
ইসলামী ছাত্রশিবির ঘোষিত প্যানেলে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম। জিএস পদে শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ এবং এজিএস পদে সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান লড়বেন। অন্যান্য পদে রয়েছেন ফাতিমা তাসনীম জুমা, ইকবাল হায়দার, উম্মে সালমা, জুলাইয়ে এক চোখ হারানো খান জসীম, নুরুল ইসলাম সাব্বির, আরমান হোসেন, আসিফ আব্দুল্লাহ, শরিফুল ইসলাম মুয়াজসহ মোট ২৮ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে বাগছাসের ঘোষিত প্যানেলে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আবদুল কাদের, জিএস পদে আবু বাকের মজুমদার এবং এজিএস পদে আশরেফা খাতুন। ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বামজোটও তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলামকে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত