গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার নেপথ্যে মোবাইলে ভিডিও ধারণের ঘটনাকে দায়ী করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, এটি চাঁদাবাজির ঘটনা নয়; বরং বাদশা নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলার দৃশ্য ভিডিও করায় তুহিনকে হত্যা করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) মো. রবিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তুহিনকে মৃত অবস্থায় পায়। তদন্তের অংশ হিসেবে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়।
ফুটেজে দেখা যায়, এক নারী রাস্তায় এক পুরুষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পুরুষটি ওই নারীকে আঘাত করলে, নারীর পরিচিত ৪-৫ জন চাপাতি নিয়ে এসে ওই পুরুষকে আক্রমণ করে। পরে জানা যায়, ওই পুরুষের নাম বাদশা মিয়া, তিনি জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানায়, বাদশার ওপর হামলার এই ঘটনাটি তুহিন তার মোবাইলে ধারণ করেছিলেন। পরে হামলাকারীরা তুহিনের কাছে ভিডিও মুছে ফেলতে বলেন। কিন্তু তুহিন রাজি না হওয়ায়, বা বিষয়টি অস্বীকার করায়, সেখানেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, একজন নারীকে কেন্দ্র করে প্রথমে হামলার ঘটনা এবং পরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া তদন্তে এখনো অন্য কোনো কারণ সামনে আসেনি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে গাজীপুরের চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেটের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সংবাদকর্মী আসাদুজ্জামান তুহিনকে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত