জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা শেষে অনুষ্ঠিত এক অনির্ধারিত বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জানিয়েছে, সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে যদি কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
শনিবার (২৪ মে) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন, সংস্কার এবং বিচার—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের পথে কিছু কর্মকাণ্ড গুরুতর প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা গভীর উদ্বেগের কারণ। উপদেষ্টা পরিষদের মতে, এসব কর্মকাণ্ড উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও এখতিয়ার বহির্ভূত। এতে স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জনগণের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।
বৈঠকে স্পষ্ট জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গোষ্ঠীস্বার্থ উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে যদি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, পরাজিত শক্তির প্ররোচনা বা বিদেশি হস্তক্ষেপের কারণে দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে পড়ে, তাহলে সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ মনে করে, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে একটি সর্বজাতীয় ঐক্য গঠন এখন সময়ের দাবি। এ জন্য সরকার সকল রাজনৈতিক দলের মতামত শোনার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং শিগগিরই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা থেকেই উদ্ভূত হয়েছে। তবে সরকার পরিচালনার স্বকীয়তা, কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের গতি, বিচারপ্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বারবার বাধাগ্রস্ত হলে, সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বাধ্য হবে।