জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা শেষে অনুষ্ঠিত এক অনির্ধারিত বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জানিয়েছে, সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি হলে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার—এই তিনটি প্রধান দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের পথে যেসব কর্মকাণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। উপদেষ্টা পরিষদের মতে, এসব কর্মকাণ্ড উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক এবং এখতিয়ার বহির্ভূত, যা স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে এবং জনমনে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
বৈঠকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, সরকার সব বাধা উপেক্ষা করেও গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তবে যদি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, পরাজিত শক্তির প্ররোচনা কিংবা বিদেশি হস্তক্ষেপের কারণে দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে পড়ে, তাহলে সরকার জনগণের সমর্থনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
উপদেষ্টা পরিষদ আরও মনে করে, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং স্বৈরতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে জাতীয় ঐক্য জরুরি। এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সকল রাজনৈতিক দলের মতামত শোনার প্রস্তুত রয়েছে এবং শিগগিরই নিজেদের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাবে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর পর গঠিত হয়েছে এবং এটি জনআকাঙ্ক্ষা থেকে উদ্ভূত। তবে সরকার পরিচালনার স্বকীয়তা, সংস্কারের ধারাবাহিকতা, বিচারপ্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বারবার বাধা সৃষ্টি হলে, সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।