এলএনজির আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে দেশের গ্যাস খাতের জন্য বড় স্বস্তির খবর বলে উল্লেখ করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজানুর রহমান। এতে করে পেট্রোবাংলা ব্রেক ইভেনে চলে আসবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বার্তা২৪.কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট প্রত্যাহারের ফলে আনুমানিক সাড়ে ৬ হাজার কোটি থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, “যদি ৯২টি এলএনজি কার্গো আমদানি করি এবং ৬ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি বিবেচনায় নিই, তাহলে আমরা ব্রেক ইভেনে চলে আসতে পারব। ফলে পেট্রোবাংলার আর্থিক সক্ষমতা আরও বাড়বে।”
এই প্রেক্ষাপটে অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেট্রোবাংলা ২০২৫ সালে ৯৮টি এলএনজি কার্গো আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে। আগের পরিকল্পনায় এই সংখ্যা ছিল ৯২টি। স্পট মার্কেটের পাশাপাশি জি-টু-জি ভিত্তিতে বাড়তি এলএনজি আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এ উদ্যোগের ফলে শিল্পখাতে চলমান গ্যাস সংকট কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ গ্যাসের ঘাটতির কারণে বর্তমানে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে ২ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দ ১ হাজার ৫৪ কোটি টাকার তুলনায় অনেক বেশি। আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এ বরাদ্দ ছিল ৯৯৪ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে বেড়ে হয়েছিল ১ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা।
এ ছাড়া, এবারের বাজেটে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর জন্যও স্বস্তির খবর রয়েছে। উৎসে কর হ্রাস করায় এসব কোম্পানি এখন লাভজনক অবস্থানে যেতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “আগে উৎসে ২ শতাংশ হারে কর কর্তন করা হতো, এখন সেটি কমিয়ে ০.৬০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে শুধু তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিরই প্রায় ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি উভয়ই লাভে চলে আসবে।”