অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সতর্ক করেছে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার বা প্রকাশ করা হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর গুরুতর লঙ্ঘন এবং আদালতের নির্দেশ অমান্য করার শামিল।
সরকার অভিযোগ করেছে, সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যম আইন উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক ভাষণ প্রচার করেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘অপরাধমূলক প্রচারকর্ম’ হিসেবে উল্লেখ করে গণমাধ্যমগুলোকে সতর্ক করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন রয়েছেন।
প্রেস উইং আরও জানায়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বর্তমানে নিষিদ্ধ। দলের যেকোনো নেতা বা কর্মীর বক্তব্য প্রচার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, শেখ হাসিনার বক্তব্য সম্প্রচার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই আইন অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।