আয়োজক: প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ
স্থান ও সময়: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ১২ এপ্রিল
ঘোষণাপত্র পাঠ করেন: মাহমুদুর রহমান (সম্পাদক, দৈনিক আমার দেশ)
আমরা, বাংলাদেশের মানুষ, জুলুমবিরোধী চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে গাজার সাহসী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়, এটি আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন ও নতুন প্রতিশ্রুতি।
১. ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করতে হবে।
২. যুদ্ধবিরতি নয়, গণহত্যা বন্ধে কার্যকর সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩. ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ফিরিয়ে দিতে বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে হবে।
৪. পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৫. ফিলিস্তিনের আত্মনিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
১. ইসরায়েলের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক (অর্থনৈতিক, সামরিক, কূটনৈতিক) ছিন্ন করতে হবে।
২. বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপ করতে হবে।
৩. গাজার জনগণকে চিকিৎসা, খাদ্য ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দিতে হবে।
৪. আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলকে একঘরে করার কূটনৈতিক অভিযান শুরু করতে হবে।
৫. ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে ওআইসি ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে কার্যকর অবস্থান নিতে হবে।
১. পাসপোর্টে “Except Israel” শর্ত পুনর্বহাল করতে হবে।
২. ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৩. রাষ্ট্রীয়ভাবে গাজায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠাতে হবে।
৪. জায়নবাদী পণ্য বর্জনের নির্দেশনা জারি করতে হবে।
৫. ভারতের মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রতিবাদ জানাতে হবে।
৬. পাঠ্যবই ও শিক্ষা নীতিতে ফিলিস্তিন ও মুসলিম ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
১. ইসরায়েল সমর্থিত পণ্য ও কোম্পানি বর্জন করব।
২. ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলামী চেতনায় গড়ে তুলব।
৩. ইসলামের নিদর্শন রক্ষায় জান-মাল দিয়ে প্রস্তুত থাকব।
৪. বিভাজন এড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকব, যেন বাংলাদেশ আরেকটি গাজায় পরিণত না হয়।
আপনারা ইমান, সবর ও কুরবানির প্রতীক। আমরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপনাদের সালাম ও দোয়া জানাই:
“আল-কুদস লানা – আল কুদস আমাদের!”
এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া হলো— গাজা শুধু একটি জায়গা নয়, এটি একটি বিবেক, একটি প্রতিরোধ, এবং আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব।