যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার প্রধান শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে নথিবিহীন শত শত অভিবাসী ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এই বিক্ষোভ দমনে ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন সেনাবাহিনীর অধীনস্থ মিলিশিয়া বাহিনী ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্ত বিষয়ক উপদেষ্টা টম হোমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টম হোমান জানান, “নাগরিকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসকে আরও নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ একই দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডকে নামানো হয়েছে। যদি এতে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে লস অ্যাঞ্জেলেসের নিকটস্থ পেন্ডেলটন সেনা ছাউনি থেকে মেরিন সেনাদের একটি দল এসে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তাদেরকে সে রকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ট্রাম্প প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থান কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে ‘নিষ্ঠুর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন সচেতনভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত একটি ভুল পদক্ষেপ এবং এর ফলে জনগণের প্রশাসনের ওপর আস্থা কমে যাবে।”
এর পেছনে মূল ঘটনা শুরু হয় গত ৬ জুন শুক্রবার, যখন লস অ্যাঞ্জেলেসে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। অভিযানের সময় শহরের উপশহর প্যারামাউন্টে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে, যার ফলে পরদিন শনিবার ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়।
বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা টম হোমান। তিনি বলেন, “অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালাবেন বা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করবেন, তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।”