খুলনার ফুলতলা থেকে অপহরণের চার দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে ফুলতলা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (বয়স ১৭)। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে খুলনা মহানগরীর হরিনটানা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকালে। ফুলতলার পঠিয়াবান্দা গ্রামের ওই কলেজ ছাত্রী তাদের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান গোবিন্দ মন্ডল। অপহরণের পর ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় পঠিয়াবান্দা গ্রামের নৃপেন মন্ডলের ছেলে গোবিন্দ মন্ডল (২০), এবং তার সহযোগী একই গ্রামের আবজাল খাঁর ছেলে আরাফাত খাঁ (৩৫), মনির (৪৫) ও নৃতিশ মন্ডলকে (৪৫) আসামি করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর ট্র্যাক করে তদন্ত এগিয়ে নেন। এরপর রোববার (৩০ জুন) গভীর রাতে বটিয়াঘাটা থানার সহযোগিতায় ভান্ডারকোট এলাকা থেকে বিল্লাল নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল জানায়, সে পাঁচ হাজার টাকায় জনৈক গোবিন্দ মন্ডলের কাছ থেকে ফোনটি কিনেছে।
এরপর হরিনটানা থানা পুলিশের সহযোগিতায় রাজবাথ হ্যাচারীর মোড়ে শেখ মশিউর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকেই অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় এবং আসামি গোবিন্দ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার গোবিন্দ মন্ডলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, ভিকটিমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ডাক্তার ফারজানা এ্যানির চেম্বারে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।