সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে “সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ মে সরকার কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতি, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এক মাসের নোটিসে বিচার ও শাস্তির বিধান রেখে একটি অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছিল। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীরা সচিবালয়ে বিক্ষোভ, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। তবে গত সপ্তাহে নিজেদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিলে আন্দোলন অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়ে।
কর্মচারীদের দাবি ছিল, নতুন অধ্যাদেশ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা। কিন্তু সরকার সেই দাবি গ্রহণ না করে অধ্যাদেশে আংশিক সংশোধন এনেছে।
বৈঠকে আরও একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। তা হলো, পারমাণবিক জ্বালানি এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির ‘জয়েন্ট কনভেনশন অন দ্য সেইফটি অব স্পেন্ট ফুয়েল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড দ্য সেইফটি অব রেডিওঅ্যাকটিভ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’-এ স্বাক্ষরের প্রস্তাব।