বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ ভুল রাজনীতি করেছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, লুটপাট চালিয়েছে এবং জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণেই দলটি বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকবে না।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতীকী তারুণ্য সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিপন বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না করা বড় কথা নয়, তাদের ভুল রাজনীতির কারণেই জনগণ আর এই দলকে সমর্থন করবে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বাংলাদেশে ফিরে আসার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত হয়েছে। এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে সংস্কার প্রয়োজন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করে দাবি তুলেছিলেন যে, তাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। কিন্তু যারা দুর্নীতি করে, ঘুষ খায়, স্বল্প বেতনে ঢাকা শহরে বাড়ি বানায়, বিদেশে সন্তানদের পড়ায়, তাদের বিষয়ে জবাবদিহি থাকতে হবে। একজন মন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে সমালোচনা করা গেলেও একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিষয়ে কিছু বলা যাবে না—এটা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে যারা আমলাতন্ত্রের ভেতর থেকে ভোট ডাকাতিতে সহায়তা করেছে, সেই ডিসি, এসপি, ইউএনওরা এখনও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন এবং প্রমোশনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
রিপন বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণে যেসব আমলা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে আওয়ামী লীগপন্থি যারা এখনও ঘাপটি মেরে আছে এবং বিগত নির্বাচনগুলোতে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছে, তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
এসময় তিনি দেশের বেকার সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন ও সচিবালয় থেকে আওয়ামী লীগপন্থিদের সরিয়ে বেকার যুবকদের চাকরির সুযোগ দিতে হবে।