বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, জুলাই চেতনা বাস্তবায়নে সরকারকে তার নিজস্ব যন্ত্রপাতি (মেশিনারি) ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মূল চেতনা ছিল সুশাসন, আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, যাতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যায়।”
শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) অডিটোরিয়ামে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত “জুলাই আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে করণীয়” শীর্ষক ছায়া সংসদে বক্তৃতা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “জুলাই বিপ্লব কোনো নাগরিক সমাজের ব্যানারে হয়নি, এটি ছিল সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকে। সরকার ও নাগরিক সমাজের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসন করতে হবে। সরকারকে জানতে হবে নাগরিক কী চায় এবং নাগরিক সমাজকেও দলীয় অনুসারিতা পরিহার করতে হবে। দল বা গোষ্ঠীর পক্ষে নয়, বরং নাগরিক স্বার্থে কথা বলতে হবে। তবেই নাগরিক প্রত্যাশা বাস্তবায়ন সম্ভব।”
তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, “জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা তুলে ধরতে হবে। তবে ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।”
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আমার কাছে স্থায়ী বলেই মনে হয়।”
সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “সংবিধান নতুন করে লেখা যেতেই পারে, তবে এটিই পৃথিবীর অন্যতম সেরা সংবিধান।”
মব সন্ত্রাস নিয়ে তিনি বলেন, “মব সন্ত্রাস বিচার বিভাগের প্রতি অনাস্থা নয়, এটি ১৭ বছরের অবিচারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তবে এই ক্ষোভ আমরা প্রত্যাশা করি না। মব সন্ত্রাস জুলাই আন্দোলনের অর্জনকে ম্লান করতে পারে, তাই তা বন্ধ করতে হবে।”
হাইকোর্ট বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ পরবর্তীতে বিবেচনা করা যেতে পারে।”