জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম, বীর প্রতীক। সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তাদের পুনর্বাসনের জন্য কর্মসূচি নেয়া হয়েছে, তবে চাকরিতে কোটা বা ফ্ল্যাট দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।”
তিনি জানান, পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। কেউ হাঁস-মুরগি বা গবাদি পশু পালনের আগ্রহী হলে, সে অনুযায়ী সহায়তাও থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তুলনা করে জুলাই যোদ্ধাদের ভাতা সমান করার বিষয়ে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান—তাদের সঙ্গে তুলনা অনুচিত।” চাকরিতে কোটার বিষয়ে তিনি সাফ জানান, “না না, কোনো কোটা থাকবে না। তারা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ ঘটে। এরপর ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে শহীদ ও আহতদের কল্যাণে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং ২৮ এপ্রিল গঠিত হয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’।
২০২৫ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮৪৪ জন শহীদ ও ৩,০৪৩ জন আহতের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আরও ১,৭৬৯ জনের তালিকা যাচাই-বাছাই চলছে।