বাংলাদেশ ব্যাংকের নারী কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত পোশাকসংক্রান্ত নির্দেশনাকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের খারাপ নজির’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৫৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁদের মতে, এই নির্দেশনা নারীর মৌলিক অধিকার ও সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, পাশাপাশি এটি একটি জাতীয় সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক রুচি ও সংস্কৃতির জন্যও লজ্জাজনক।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং নির্দিষ্ট রঙের স্কার্ফ বা হিজাব পরার নির্দেশনা দেয়। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পরবর্তীতে এই নির্দেশনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। বিবৃতিদাতারা গভর্নরের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও বলেন, যেহেতু নির্দেশনাটি জারি করা হয়েছিল, তাই এটি আমলে নিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই জনগণের কাছে জবাবদিহি রয়েছে, সেটি তাঁরা স্মরণ করিয়ে দেন।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, মানবাধিকারকর্মী নুর খান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আসকের সভাপতি জেড আই খান পান্না, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, সামিনা লুৎফা, রোবায়েত ফেরদৌস, তাসনীম সিরাজ মাহবুব, জোবাইদা নাসরিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, আদিবাসী মানবাধিকারকর্মী রানী য়েন য়েন, বেলার প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট তাসলিমা ইসলাম, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সংগীতশিল্পী কৃঞ্চকলি ইসলাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমাসহ আরও অনেকে।