1. live@media71bd.com : Media71 : Media71
  2. info@www.media71bd.com : Media 71 :
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

নিত্যপণ্যের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠছে

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিত্যপণ্যের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ডিম, মাংস, মাছ ও সবজির লাগামহীন দাম ক্রেতাদের নাভিশ্বাস তুলেছে। আয় অপরিবর্তিত থাকলেও প্রতিদিন বাড়তে থাকা নিত্যপণ্যের দামে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাসিক বাজেট সামলানো এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ডিম ও মুরগির বাজার

প্রতি হালি লাল বা সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫–৫০ টাকায়, অর্থাৎ এক ডজনের দাম দাঁড়িয়েছে ১৩৫–১৫০ টাকা। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও দাম ছিল ১২০–১৩০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০–১৯০ টাকায়, যা গত মাসে ছিল ১৩০–১৪০ টাকা। লাল মুরগির দাম আরও বেশি, ৩৮০–৪০০ টাকা প্রতি কেজি। ব্যবসায়ীদের দাবি, ফিড ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

সবজির বাজার

টানা বৃষ্টিপাত ও মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। ফলে সবজির দাম লাফিয়ে উঠেছে। রাজধানীর গাবতলী ও কারওয়ান বাজারে বেগুন ৮০–৯০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স ও করলা ৭০–৮৫ টাকা, টমেটো ২০০–২২০ টাকা এবং সিম ২৪০–২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শসা ৮০–৯০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১৮০–২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল, দীর্ঘদিন ধরে কেজিপ্রতি ২০–২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যান্য নিত্যপণ্য

পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫–৮০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা এবং আদা ২৪০–২৬০ টাকা কেজিতে।

মাছের বাজার

মাছের দামও বেড়েছে, বিশেষ করে ছোট মাছের। পুঁটি, শিং, মাগুর ও তেলাপিয়া ২৮০–৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই, কাতল, কালি, পাবদা ও কৈ মাছের দাম ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি।

ক্রেতাদের দুর্ভোগ

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা এক চাকরিজীবী বলেন, “আগে ৫০০ টাকায় এক সপ্তাহের বাজার হতো, এখন ১ হাজার টাকাতেও হয় না। ডিম, মাংস, সবজি— কোনোটারই দাম কম নেই। পরিবার নিয়ে কিভাবে চলব বুঝতে পারছি না।”
গৃহিণী রাবেয়া আক্তার বলেন, “প্রতিদিন নতুন করে দাম বাড়ছে। সরকার শুধু তদারকির কথা বলে, কিন্তু বাজারে কোনো প্রভাব পড়ছে না।”

ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তারা নিজেরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন না। সরবরাহ কমে গেছে, বৃষ্টির কারণে পরিবহন খরচও বেড়েছে। ফলে তাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

ভোক্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্বল বাজার মনিটরিং ও মৌসুমি সংকটের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছে। বিআইডিএস-এর এক গবেষক মত দেন, বাজারে সরবরাহ বাড়াতে হবে, আমদানি সহজ করতে হবে এবং নিয়মিত মনিটরিং চালু রাখতে হবে। না হলে ভোক্তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে আগামী কয়েক সপ্তাহে দাম আরও বাড়তে পারে। তখন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রোটিন তো দূরের কথা, ভাতের সঙ্গে তরকারি খাওয়াও কঠিন হয়ে উঠবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!