আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার সমাধিস্থ হওয়া বাঙালি জাতির প্রতি তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি বহন করে।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায় জন্ম নেওয়া দুখু মিয়া পরবর্তীতে হয়ে উঠেছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি। শুধু কবিতাই নয়, সংগীত, নাটক, গল্প, প্রবন্ধ ও সাংবাদিকতাসহ সাহিত্যের প্রায় সবক্ষেত্রেই রেখেছেন অনন্য স্বাক্ষর। তার লেখা ও গান বারবার জাতিকে জাগ্রত করেছে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে। মুক্তিযুদ্ধেও তিনি ছিলেন এক অদৃশ্য প্রেরণার মশাল।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাকে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় এবং প্রদান করা হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। একুশে পদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রিসহ নানা স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কবির সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা ও দোয়া মাহফিলের পাশাপাশি থাকছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন।