এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত বড় কোনো অঘটন ঘটেনি। ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে। তবে টুর্নামেন্ট জমে উঠতে যাচ্ছে শনিবারের ম্যাচে, যেখানে মুখোমুখি হবে দুই চেনা প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।
বিগত এক দশকে দুই দল ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে, জয় সমান ৮টি করে। ফলে ম্যাচটি নিয়ে প্রত্যাশা তুঙ্গে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ এগিয়ে। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তারা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে। এর আগে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডালাসে লঙ্কানদের হারিয়েছিল টাইগাররা। ওই ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতেই আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছিল। যদিও শ্রীলঙ্কা এখন তাদের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে আশাবাদী, তবে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তারা গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৮০ রানে।
শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্য নিয়ে সতর্ক হলেও জোর দিয়ে বলেন, “তারা অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে। তবে আমরা অতীত নিয়ে ভাবি না। কেবল দেখি কীভাবে তাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়। আমরা পরিকল্পনা করবো এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।”
বাংলাদেশের জন্য বাড়তি সুবিধা হলো এই ভেন্যুতে তারা ইতোমধ্যে ম্যাচ খেলেছে। বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিপক্ষে সহজ জয়ে পেসাররা নিয়মিত উইকেট নিয়েছেন এবং শীর্ষ সারির ব্যাটাররা সহজেই লক্ষ্য টপকে দলকে জিতিয়েছেন। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনও কার্যকর ছিলেন। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে তিনি ১২ ওভারে ৫.৪৭ ইকোনমি রেটে উইকেট নিয়েছিলেন।
হংকং ম্যাচের পর দলের প্রতিনিধি হয়ে পেসার তানজিম সাকিব বলেন, “শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা কিছুদিন আগেই সিরিজ জিতেছি। আপনি যখন কোনো দলের বিপক্ষে জিতে আসবেন, তখন সেটা মাঠে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।”
‘গ্রুপ অব ডেথ’ নামে পরিচিত এই গ্রুপে আফগানিস্তানও রয়েছে শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে। ফলে আজকের ম্যাচে হেরে গেলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা—দুই দলেরই সুপার ফোরে যাওয়ার পথ কঠিন হয়ে যাবে।