এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায়ই এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, যেখানে বুঝে ওঠা কঠিন—ছবিটি আসল, না কি ডিপফেইক বা এআইয়ের তৈরি। তবে কিছু লক্ষণ খেয়াল রাখলে ডিপফেইক ছবি বা ভিডিও শনাক্ত করা সম্ভব।
১. জুম করে ভালো করে দেখুন:
প্রথমে ছবিটি জুম করে লক্ষ্য করুন। সাধারণ একটি ন্যাচারাল ছবির সঙ্গে এআই-নির্মিত ছবির কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়তে পারে। বিশেষ করে মানুষের চোখ, মুখ, চোয়াল, হাত ও আঙুলের দিকে খেয়াল করুন। মুখের চারপাশ কিছুটা ঝাপসা বা অস্পষ্ট হতে পারে।
২. ঠোঁটের ছন্দ ও কথার মিল দেখুন (ভিডিওর ক্ষেত্রে):
ডিপফেইক ভিডিওগুলোতে কথা বলার সময় ঠোঁটের গতিবিধির সঙ্গে শব্দের ছন্দ মেলেনা। এতে মুখের অভিব্যক্তি ও কথার অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়ে।
৩. মানুষের আবেগ ও অভিব্যক্তি বিশ্লেষণ করুন:
মানুষের হাসি, কান্না বা উচ্ছ্বাস-উল্লাসে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়, তা অনেক সময় ডিপফেইক ভিডিওতে অনুপস্থিত থাকে। এই সূক্ষ্ম অঙ্গভঙ্গি এবং অভিব্যক্তির মিল-অমিল দেখলে সন্দেহ করা যেতে পারে।
৪. একবারে পুরো ছবিটি দেখুন:
ডিপফেইক ছবি, বিশেষ করে গ্রুপ ফটোতে, বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি থাকে। কারো মুখ অন্যরকম, কারো শরীরের ভঙ্গি অস্বাভাবিক কিংবা কারো আঙ্গুল সংখ্যা বা গঠন সঠিক নাও হতে পারে।
৫. ব্যাকগ্রাউন্ড খেয়াল করুন:
ছবির বিষয়বস্তু ও পেছনের প্রেক্ষাপট (ব্যাকগ্রাউন্ড) সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা দেখুন। অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে বিকৃত, অস্পষ্ট বা অবাস্তব দৃশ্য দেখা যায়, যা এআইয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে হয়ে থাকে।
৬. ছবির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানুন:
ছবিটি কেন তোলা হয়েছে বা কী প্রেক্ষাপটে ছড়িয়েছে তা নিয়ে ভাবুন। বিশেষ করে কোনো জনপ্রিয় ব্যক্তি বা ঘটনার ছবি হলে সার্চ করে ছবিটির উৎস ও সত্যতা যাচাই করতে পারেন। রিভার্স ইমেজ সার্চ টুল ব্যবহার করেও এটি যাচাই করা সম্ভব।
এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে এআই-নির্মিত বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট শনাক্ত করা সহজ হবে। সচেতন ব্যবহারকারীরাই পারে এই ভুয়া তথ্য ও ছবি ছড়ানো বন্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত