ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার বিষয়টি এখন মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের একটি বা একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন।
হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ফোরদো’। এটি একটি ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল ঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হয়।
তবে বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টাদের মধ্যে পূর্ণ একমত নেই। একদিকে তারা আক্রমণের ঝুঁকি ও কৌশলগত প্রভাব নিয়ে বিভক্ত, অন্যদিকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে বলছে যে, তারা ইসরায়েলের আক্রমণে সরাসরি জড়িত নয়।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) হোয়াইট হাউজে এই ইস্যুতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে অংশ নেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
সম্প্রতি সিনিয়র এক মার্কিন কূটনীতিক টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার বিষয়টি “বিবেচনায় রয়েছে”, তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে, গত শুক্রবার ভোরে ইরানে একটি সীমিত হামলা চালায় ইসরায়েল, যেখানে তারা দাবি করে যে, ইরান দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও বছরের শুরুতে মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়ন জানিয়েছিল, ইরান সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না, তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাদের কর্মসূচি পুনরায় সক্রিয় হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।