মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহদের সময় ওয়ানডে ক্রিকেটে সমীহ জাগানো দলে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই পাঁচ তারকার বিদায়ের পর প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে এখন ছন্নছাড়া অবস্থায় লাল-সবুজ বাহিনী। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিলেও পঞ্চাশ ওভারের সংস্করণে এবার নিজেরাই হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় টাইগাররা। এমন পরিস্থিতিতেই আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে।
প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮১ রানের বড় পরাজয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খোয়ায় টাইগাররা। অথচ এর আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে ৪, ২ ও ৬ উইকেটে তিন ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে উজ্জীবিত ছিল দল। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারায় ওয়ানডেতে একের পর এক ব্যর্থতায় এখন হোয়াইটওয়াশের মুখে মেহেদি হাসান মিরাজের দল। বিশেষ করে ব্যাটারদের ব্যর্থতাই দলকে টেনে নামিয়েছে।
টাইগার অধিনায়ক মিরাজ বলেন, “টপ অর্ডারে আমাদের বড় জুটি দরকার ছিল। তাহলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতো। কিন্তু কোনও ব্যাটারই দায়িত্ব নিতে পারেনি। এটি খুবই হতাশাজনক।” তিনি আরও যোগ করেন, “এখনও আমাদের একটি ম্যাচ বাকি আছে। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ব্যাটারদের আরও উন্নতি করতে হবে এবং দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।”
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে স্পষ্ট—ওয়ানডেতে খাদের কিনারায় বাংলাদেশ। সর্বশেষ ১১ ওয়ানডের মধ্যে ১০টিতেই হেরেছে টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে তাই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই এখন প্রধান লক্ষ্য।
এখন পর্যন্ত দুই দলের ওয়ানডে মুখোমুখি ২১ বারে ১১ জয় বাংলাদেশের, আর ১০ জয় আফগানিস্তানের। আজকের ম্যাচ জিতলে শুধু সিরিজই নয়, পরিসংখ্যানে বাংলাদেশকে ধরে ফেলবে আফগানরা।
বাংলাদেশ দল: মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, শামীম হাসান, নুরুল হাসান, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।
আফগানিস্তান দল: হাশমতুল্লাহ শাহিদী (অধিনায়ক), রহমত শাহ (সহ-অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইকরাম আলিখিল (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, সেদিকুল্লাহ আতাল, দারউইশ রাসুলি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, নাঙ্গোলিয়া খারোতে, মোহাম্মদ গাজানফার, আবদুল্লাহ আহমাদজাই, বশির আহমাদ ও বিলাল সামি।
আজকের ম্যাচ তাই শুধু সিরিজ নয়—বাংলাদেশের ওয়ানডে মর্যাদা রক্ষারও লড়াই।