অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশের ব্যাংকিং খাতে সংস্কার জোরদার হয়েছে। সম্প্রতি ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অর্ডিন্যান্স’ সংশোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংককে বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন, শেয়ার বাতিল ও প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সরকার একে ‘সুশাসনের হাতিয়ার’ হিসেবে প্রচার করলেও এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নিউইয়র্ক গ্লোবের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এ ধরনের তদারকি রাশিয়ার 'রেইডার্স্টভো' কৌশলের অনুরূপ, যেখানে রাষ্ট্র বিরোধী ব্যবসায়ীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে। বাংলাদেশে অন্তত ১০টি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রুপ—যেমন বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, যমুনা, স্কয়ার, পারটেক্স, এস আলম প্রভৃতি—সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র একপক্ষীয়ভাবে আইন প্রয়োগ করলে তা দেশের রেগুলেটরি ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও ব্যবসায়িক পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপও আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে।
তাদের মতে, সংস্কার দরকার হলেও তা হওয়া উচিত রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে—নয়তো তা ‘সংস্কার’ নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিশোধের হাতিয়ার হয়ে উঠবে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত