সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোমাঞ্চকর তিন উইকেটের জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। এই জয়ের মাধ্যমে সাত বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো টেস্ট ম্যাচে জয় পেল দলটি।
মাত্র ১৭৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ে শুরুতেই ছিল দুর্দান্ত ছন্দে। ২১তম ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা তুলে ফেলে ৯৫ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান গড়েন ৯৫ রানের জুটি। তবে এরপরই পাল্টে যেতে থাকে ম্যাচের দৃশ্যপট।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজ প্রথমে ভেঙে দেন উদ্বোধনী জুটি, এরপর ৩৩ রানের ব্যবধানে আরও তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে চাপে ফেলেন জিম্বাবুয়েকে। অন্যদিকে তাইজুল ইসলামও গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট নিয়ে অবদান রাখেন।
মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৫টি উইকেট, যার মধ্যে ছিল মাত্র ১ রানে নাইয়াশা মায়াভোর উইকেট। তখন জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান, হাতে মাত্র চার উইকেট। কিন্তু সেখান থেকে ধৈর্যের সঙ্গে খেলেন ক্রেইগ আরভিন ও ওয়েসলি মাধেভেরে।
চা বিরতির সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ২৮ ওভারে ১১৭/২। জয় থেকে তারা তখন ৫৭ রান দূরে ছিল। বেনেট ছিলেন ৫২ রানে অপরাজিত, সঙ্গে ছিলেন শন উইলিয়ামস। এর আগে আউট হন বেন কারান (৪৪) ও নিক ওয়েলচ (১০)। শেষ পর্যন্ত ওয়েসলি মাধেভেরে রিভার্স সুইপে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন সফরকারীদের।
এর আগে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৫৫ রানে। দলের হয়ে একমাত্র উজ্জ্বল ব্যাটার ছিলেন জাকের আলি। নিজের অষ্টম টেস্ট ইনিংসে তিনি চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১১১ বলে ৫৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন জাকের।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে আগের রাতের বৃষ্টির কারণে। দিনের দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান আগের দিন ৬০ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়ক শান্ত। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন মিরাজ, তাইজুল, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ।
শেষ পর্যন্ত ৭২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের নায়ক হন ব্লেসিং মুজারাবানি। এই ম্যাচেই তিনি জিম্বাবুয়ের হয়ে দ্রুততম ৫০ টেস্ট উইকেট শিকারি হিসেবে নাম লেখান।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত