গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি পৃথক মামলায় সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ কারণে বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকেই রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সকাল ৬টা থেকে ট্রাইব্যুনাল এলাকা ও আশপাশে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএনসহ বিভিন্ন বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ও টহল লক্ষ্য করা গেছে। সোয়া সাতটার দিকে অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনাল-১ এ নেওয়া হয়, যেখানে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা এক মামলায় আসামি ১৭ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কামরুল হাসানসহ একাধিক সাবেক কর্মকর্তা। এ ছাড়া র্যাবের তিন সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, এম খুরশিদ হোসেন ও হারুন-অর-রশিদসহ কয়েকজন পলাতক।
আরেক মামলায় ডিজিএফআইয়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাসহ ১৩ জন আসামি। তাদের মধ্যে কয়েকজন সেনা হেফাজতে আছেন। এছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবি ও পুলিশের সাবেক চার কর্মকর্তা আসামি, যাদের মধ্যে দুজন পলাতক।
প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, আসামিরা স্বেচ্ছায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পারেন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসতে পারে। হাজির হলে তারা জামিন চাইতে পারবেন, আর গ্রেপ্তার হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হবে।