শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে অধিকাংশ বিমা দাবির টাকা পাবেন না, কারণ তারা ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ পলিসি নিয়েছেন।
দেশে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলো দুই ধরনের পলিসি ইস্যু করে:
এয়ার অল রিস্ক পলিসি: ওয়্যারহাউজ টু ওয়্যারহাউজ পর্যন্ত সব ধরনের ক্ষতি কাভার করে।
এয়ার রিস্ক অনলি: শুধুমাত্র উড়োজাহাজে থাকার সময় ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেয়।
বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এয়ার অল রিস্ক নিয়েছেন, তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আর অনলি এয়ার রিস্ক পলিসি নেওয়া ব্যবসায়ীরা ক্ষতিপূরণ পাবেন না।
উদাহরণ:
টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের মালামাল পুড়ে গেছে, তবে তারা অনলি এয়ার রিস্ক পলিসি নিয়েছে, তাই এখনো বিমা দাবি পূরণ হয়নি।
রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেডও একই পরিস্থিতিতে আছেন।
বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের সিইও আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী জানান, তাদের কাছে ৭৯টি বিমা দাবি এসেছে; এর মধ্যে ৪৯টি অনলি এয়ার রিস্ক পলিসি। এসব পলিসির জন্য বিমা দাবি পাওয়া যাবে না।
বিমা পলিসির বৈধতা নিয়ে বিতর্ক:
লয়েড’স অফ লন্ডনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা অনলি এয়ার রিস্ক পলিসি অনুমোদন করে না।
তবে সাধারণ বীমা করপোরেশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে আইডিআরএর নির্দেশনা অনুযায়ী এই পলিসি বৈধ।
বাণিজ্যিক দিক:
ব্র্যাক ব্যাংকের এলসি শর্ত অনুযায়ী, আমদানিকারক নিজে বিমা গ্রহণ করতে পারে। ব্যাংকের কোনো দায় নেই।
বিমানবন্দর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা করছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।