1. live@media71bd.com : Media71 : Media71
  2. info@www.media71bd.com : Media 71 :
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কারণেই প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি অভিযোগ করেছেন, ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কারণেই তাকে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, লিপুলেখ সীমান্ত বিরোধ এবং অযোধ্যায় দেবতা রামের জন্মস্থান নিয়ে তার মন্তব্যের ফলেই তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) জেন-জির বিক্ষোভের মুখে অলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার দেশত্যাগের গুঞ্জন উঠলেও বর্তমানে তিনি নেপালের সেনাবাহিনীর শিবপুরি ব্যারাকে অবস্থান করছেন। বুধবার নিজ দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি সরাসরি ভারতকে তার ক্ষমতাচ্যুতির জন্য দায়ী করেন।

চিঠিতে অলি লিখেছেন, “যদি আমি লিপুলেখ নিয়ে প্রশ্ন না তুলতাম এবং অযোধ্যা ও দেবতা রামকে নিয়ে মন্তব্য না করতাম, তবে হয়তো এখনো ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি ভারতের দাবির বিরোধিতা করেছিলাম, এ কারণেই আমাকে পদ হারাতে হয়েছে।”

ভারত-নেপাল সম্পর্কের অন্যতম বড় ইস্যু হলো লিপুলেখ গিরিপথ ও কালাপানি অঞ্চল। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি অনুযায়ী কালী নদীর উৎপত্তিস্থলকে সীমান্তের ভিত্তি ধরা হয়। নেপালের দাবি, নদীর উৎস লিম্পিয়াধুড়া থেকে, ফলে কালাপানি ও লিপুলেখ তাদের ভূখণ্ডের অংশ। অন্যদিকে ভারত বলছে, নদীটি কালাপানি গ্রামের কাছে শুরু হয়েছে এবং লিপুলেখ উত্তরাখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। অলি ক্ষমতায় থাকাকালে এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে ওই অঞ্চলকে নেপালের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করেন।

২০২০ সালে অলি বিতর্ক সৃষ্টি করে বলেছিলেন, দেবতা রাম ভারতের নয়, বরং নেপালের ভূমিপুত্র। তার দাবি অনুযায়ী, প্রকৃত অযোধ্যা ভারতের উত্তর প্রদেশে নয়, নেপালের পূর্ব বীরগঞ্জে অবস্থিত। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত একটি “ভুয়া অযোধ্যা” তৈরি করেছে। এমনকি তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাম যদি ভারতের হতেন, তবে কীভাবে নেপালের জনকপুরের সীতাকে বিয়ে করেছিলেন। এ মন্তব্যে ভারতে তীব্র সমালোচনা হয় এবং কূটনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়।

অলি মনে করছেন, তার ভারতবিরোধী অবস্থান এবং সংবেদনশীল বিষয়ে সরব হওয়াই শেষ পর্যন্ত তার রাজনৈতিক পতনের কারণ। নেপালে সাম্প্রতিক তরুণদের গণআন্দোলন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন মিলে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে।

যদিও বর্তমানে তিনি রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা, তবুও ভারতবিরোধী অবস্থানকে রাজনৈতিক পুঁজি হিসেবেই কাজে লাগাচ্ছেন। বিশ্লেষকদের মতে, নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার এই অবস্থান আগামী দিনে নতুন বিতর্ক ও উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!