ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চূড়াচাঁদপুরের পিয়ারসনমুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর চূড়াচাঁদপুর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগমনকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে সাজসজ্জার কাজ চলছে। রঙিন ব্যানার, বিলবোর্ড, পতাকা ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে বিভিন্ন সড়ক, বিশেষ করে পিয়ারসনমুন এলাকা। এখানেই ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের একটি ঘাঁটি অবস্থিত, যার হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে মোদীকে বহনকারী হেলিকপ্টার। এরপর ওই হেলিপ্যাড থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে সমাবেশস্থলে যোগ দেবেন তিনি।
তবে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়দের একটি দল এসব সাজসজ্জা ভাঙচুর শুরু করে। তারা পতাকা ও ব্যানার উপড়ে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে হতাহত বা গ্রেপ্তারের বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদীর সফর ঘিরে চূড়াচাঁদপুরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওইদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ, সিআরপিএফ, বিএসএফ ও আসাম রাইফেলসের প্রায় ১০ হাজার সদস্য।
জনজাতি অধ্যুষিত মণিপুরে ২০২৩ সালের মে মাসে ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয়, যা টানা ২১ মাস স্থায়ী ছিল। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সহিংসতার অবসান ঘটে। মেইতেই (হিন্দু) ও কুকি (খ্রিস্টান) এই দুই প্রধান জাতিগোষ্ঠীর সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ২৫৮ জন এবং বাস্তুচ্যুত হন হাজারো মানুষ।
উল্লেখ্য, দাঙ্গার পুরো সময়ে একবারও মণিপুর সফরে যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলমান সংকট নিরসনের পর এটাই হবে তার প্রথম সফর, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর।