র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের ঘাটতির কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে শেষ কিট ব্যবহারের পর থেকে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া পিসিআর ল্যাব বিকল থাকায় বিকল্প কোনো উপায়েও পরীক্ষা সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানান, কিট সংকট নিরসনে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কয়েক দফা চিঠি পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ চিঠিটি বৃহস্পতিবারই পাঠানো হয়েছে, যেখানে জরুরি ভিত্তিতে ৫ হাজার র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট চাওয়া হয়েছে। কিট সরবরাহ পেলেই আবার পরীক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে।
বর্তমানে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের পরীক্ষার পরিবর্তে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সর্বশেষ ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে মো. হারুন নামে একজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে।
হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা সুমাইয়া আক্তার সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে সেখানে শুধুমাত্র করুনা বেগম নামে একজন রোগী ভর্তি আছেন।
খুলনায় এখন পর্যন্ত মোট ৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি নগরীর বয়রা এলাকায়। কিট সরবরাহ না হওয়া পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের পরীক্ষাবিহীন আইসোলেশন চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খুমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।