অন্তর্বর্তী সরকার আট উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, প্রমাণ ছাড়া ঢালাও অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনআস্থার জন্য ক্ষতিকর।

শনিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে নাম উল্লেখ না করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। “আমরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি,” বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। “প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের শনাক্ত না করে এ ধরনের অভিযোগ জনআস্থাকে ক্ষুণ্ন করে। বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকলে তা যথাযথ আইনগত ও তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়াই সমীচীন।”

গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তত আট উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও এসব প্রমাণ আছে, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” তবে তিনি উপদেষ্টাদের নাম প্রকাশ করেননি।

বিসিএস ’৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, এসব উপদেষ্টার অনুমতি ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও বদলি হয় না।

সরকারের পক্ষ থেকে জবাবে বলা হয়, প্রশাসন স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। “যতক্ষণ না প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে, ততক্ষণ জনপরিসরের আলোচনা অনুমানের বদলে তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত,” বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।