ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ পেছানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন জেরুজালেমের একটি জেলা আদালত। ইরানের সঙ্গে সদ্যসমাপ্ত সামরিক সংঘাতের পর নিরাপত্তা ইস্যুতে মনোযোগ দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এই আবেদন করেছিলেন নেতানিয়াহু, তবে আদালত তা ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নেতানিয়াহুর আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন, যাতে বলা হয় সাম্প্রতিক ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পর প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা বিষয়ে পুরো মনোযোগ দিতে হচ্ছে, তাই দুই সপ্তাহের জন্য মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হোক। কিন্তু শুক্রবার (২৭ জুন) আদালত রায়ে জানায়, “আবেদনের পক্ষে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি,” ফলে আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মামলাকে “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র” বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, “এই বিচার বাতিল অথবা নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।”
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণ উপহার গ্রহণ, সংবাদমাধ্যমে প্রভাব খাটানোসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ। যদিও তিনি বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন এবং তার সমর্থকরা এসব মামলা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই মনে করেন।
২০২২ সালের শেষদিকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে নেতানিয়াহু বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেন, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়। সমালোচকদের মতে, এই সংস্কারের মাধ্যমে তিনি আদালতের ক্ষমতা খর্ব করে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী করতে চাচ্ছেন।