বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনায় সফল চুক্তি সম্পাদনের পর একে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধান উপদেষ্টার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া বাংলাদেশি আলোচনা টিম শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট জটিল বিষয়গুলোর মধ্য দিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে। তাদের অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি চুক্তি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যে আরোপিত শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে, যা পূর্ব নির্ধারিত হার থেকে ১৫ শতাংশ কম। ফলে বাস্তবে ২০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে—যা প্রত্যাশিত হারের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কম।
ড. ইউনূস বলেন, এই অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের প্রবেশাধিকার সহজ হবে এবং তুলনামূলক সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকবে। তিনি আরও বলেন, এ অর্জন শুধু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থানকে দৃঢ় করে না, বরং দেশের অর্থনীতির জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে, দ্রুত প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবে।
প্রধান উপদেষ্টা এই ঐতিহাসিক সাফল্যকে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের উজ্জ্বল সম্ভাবনার একটি শক্তিশালী প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন, যার আওতায় বাংলাদেশের ওপরও ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে ৯ এপ্রিল এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আলোচনার সুযোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছায় বাংলাদেশ।