জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও ‘জুলাই উইমেনস ডে’ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশ আলোকিত হয়ে উঠেছিল এক ব্যতিক্রমধর্মী ড্রোন শো-এর মাধ্যমে। শতাধিক ড্রোনের আলোয় ফুটে ওঠে নারী অবদান, সাহসিকতা এবং আন্দোলনের নানা প্রতীক ও বার্তা।
সোমবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এই শো অনুষ্ঠিত হয়। ‘জুলাই উইমেনস ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এটি অনুষ্ঠিত হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম কোনো বড় পরিসরের ড্রোন শো।
ড্রোন শো’তে জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অংশগ্রহণ, আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্ত এবং তাদের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারী কয়েক সহস্র নারী শিক্ষার্থী এ সময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে শো উপভোগ করেন।
প্রদর্শনীর আলোচ্য অংশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার একটি বিতর্কিত উক্তি—‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?’—সহ ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ প্রভৃতি স্লোগান আলো ও শব্দের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
ড্রোন শো’তে আরও প্রদর্শিত হয়:
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের প্রতিকৃতি
বুয়েটে ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের মুখচ্ছবি
১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত তন্বীর প্রতিচ্ছবি
বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরের ঘটনার প্রতীকী উপস্থাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ব্যতিক্রমী শো-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে সাহসী নারী শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো। ওই বছরের ১৪ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে প্রথম প্রতিবাদী মিছিল বের করেন, যা একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই আয়োজন শুধু অতীতের স্মৃতি নয়, বরং ভবিষ্যতের সংগ্রাম ও নেতৃত্বের জন্য নারীদের অনুপ্রেরণার বার্তা হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত