ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান জয়ী হয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন।
ঘোষিত ফলাফলে ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট এবং শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
জিএস পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট এবং প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান জয় পেয়েছেন ৯ হাজার ৫০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৫৪ ভোট।
সব হলে বড় ব্যবধানে জয় পেলেও জগন্নাথ হলে ছিল ব্যতিক্রম। সেখানে ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম পান মাত্র ১০টি ভোট, আর আবিদুল ইসলাম খান পান ১ হাজার ২৭৬ ভোট।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন—এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। হল সংসদে প্রতি হলে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট ২৩৪টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। সব মিলিয়ে একজন ভোটারকে দিতে হয়েছে ৪১টি করে ভোট।
ভোটকেন্দ্রভিত্তিক উপস্থিতির হার ছিল উল্লেখযোগ্য। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৮০.২৪ শতাংশ, অমর একুশে হলে ৮৩.৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৮১.৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হলে ৮২.৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৮৪.৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৮৩ শতাংশ, রোকেয়া হলে ৬৫.৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৬৮.৩৯ শতাংশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৬৭.০৮ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হলে ৮২.৫০ শতাংশ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৮৩.৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হলে ৮৫.০২ শতাংশ, সূর্যসেন হলে ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৫ শতাংশ, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৮৭ শতাংশ, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৮৬ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৬৪ শতাংশ এবং শামসুন নাহার হলে ৬৩.৬৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।