নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে এবং তা একদিনও পেছাবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (১৯ জুলাই) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টেডএক্স কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক আয়োজনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)-এর ময়নামতি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
শফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে এবং তা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে—এমন নির্বাচন এর আগে বাংলাদেশে হয়নি।” তিনি আরও জানান, “প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস নিজেও বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে, নির্বাচন ভালো হবে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে।”
সংলাপ ও পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। আটটি বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য হয়েছে, সাতটি বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং তিনটি বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি, সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার দ্রুত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বিশেষ করে ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর ঘটনাগুলোয় দ্রুত বিচার নিশ্চিত হচ্ছে।”
গোপালগঞ্জকে আলাদা করার গুজব নিয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “এমন কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। দেশের সব জেলার মানুষ সমানভাবে বিবেচিত হয়—কোনো বৈষম্য নেই।”
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “৫ আগস্ট সনদ ঘোষণা হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিতে চেষ্টা চলছে। প্রায় প্রতিদিনই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, টেডএক্স কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি একটি আন্তর্জাতিক মানের আয়োজন, যা মার্কিন অলাভজনক সংস্থা টেড-এর অনুমোদনে পরিচালিত হয়। এবারের টেডএক্স ইভেন্টের প্রতিপাদ্য ছিল “The Next Wave”, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দিকনির্দেশনা তুলে ধরা। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতা, প্রযুক্তি, সংগীত ও উদ্যোক্তা খাতের ১১ জন বক্তা তাঁদের চিন্তা, অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরণার গল্প তুলে ধরেন।
২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন হয়েছিল।