দিল্লিতে বসবাসরত দুটি পরিবারকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারই ও পাইকর থানার অন্তর্গত ওই পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক এবং এই ঘটনায় তারা গুরুতর অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা দিল্লিতে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙারির কাজ করতেন। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ তাদের আটক করে এবং কোনও বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই বিমানযোগে আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ মোট ছয়জন রয়েছেন। তাদের একজন সুইটি বিবি বলেন, “আমরা আধার কার্ড, জমির দলিল, জন্ম সনদ—সবকিছু দেখিয়েছি। কিন্তু পুলিশ কিছুই মানেনি। এখন আমরা এক কাপড়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পড়ে আছি।”
ভুক্তভোগীদের স্বজনরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ জমির কাগজপত্র, আধার কার্ড, বিডিও ও পঞ্চায়েতের সনদসহ বিভিন্ন নথি প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন, এই পরিবারগুলো বহু বছর ধরে তাদের এলাকায় বসবাস করছে এবং তাদের বৈধ নাগরিকত্বের যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে।
এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশ কিংবা বিদেশি আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিস (FRRO) কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। পরিবারটির দাবি, তাদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে কোনও তদন্ত বা শুনানি ছাড়াই জোরপূর্বক প্রত্যর্পণ করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে ‘গণবিচার বহির্ভূত প্রত্যর্পণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এই ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন এবং অবিলম্বে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ভারতে ফিরিয়ে এনে যথাযথ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
সূত্র: বিবিসি