নিউজিল্যান্ডে ভুয়া বিয়ে ও পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে নাগরিকত্ব নেওয়ায় এক বাংলাদেশিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দেশটির ইতিহাসে পাসপোর্ট জালিয়াতির মামলায় এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাজা বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম আরএনজেড।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে জালিয়াতির মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করছিলেন। যদিও তার প্রকৃত বয়স ও পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, ধারণা করা হচ্ছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী জন আলমের ৫০ বছর বয়সী বড় ভাই।
শুক্রবার অকল্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে পাসপোর্ট জালিয়াতি, মিথ্যা পরিচয় এবং ভুয়া বিয়েসহ মোট ২৯টি অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারক পিটার উইন্টার রায়ে বলেন, “এটি ছিল অত্যন্ত জটিল ও পরিকল্পিত এক জালিয়াতি। এর ব্যাপ্তি ও গভীরতা ছিল উল্লেখযোগ্য।”
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী তাজ পারভিন শিল্পীকেও এক বছর গৃহবন্দি থাকার আদেশ দিয়েছে আদালত। ৪৫ বছর বয়সী শিল্পী স্বামীর জালিয়াতির বিষয়টি জানতেন বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক।
তবে তাদের ২১ বছর বয়সী সন্তানকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন আদালত। কারণ, তিনি মাত্র চার বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডে এসেছিলেন এবং ঘটনার সময় শিশু ছিলেন।