৯০ দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূরের নামে একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে প্রতারক চক্র অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে—এমন তথ্য জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শাবনূর জানতে পারেন, একটি নকল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ তার নাম, ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করছে, যার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় শাবনূর বলেন, “যারা আমার নামে পেজ ভেরিফায়েড করেছে, তাদের উদ্দেশ্য মোটেও সৎ নয়। তারা আমার নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ করতে পারে—হয়তো ইতোমধ্যে করেছে, যা আমরা জানি না।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ওই প্রতারকদের হাতে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের তথ্য থাকতে পারে, নইলে ভেরিফায়েড পেজ চালু করা সম্ভব হতো না। শাবনূর জানান, “বিষয়টি জানার পর আমি খুবই চিন্তিত।”
প্রসঙ্গত, শাবনূর একসময় ফেসবুক ব্যবহার করতেন না, যার ফলে তার নামে বহু নকল প্রোফাইল ও পেজ তৈরি হয়েছিল। পরে নিজে ফেসবুকে সক্রিয় হলে ভক্তরা আসল-নকলের পার্থক্য বুঝতে পারেন। তবে দীর্ঘদিন তিনি নিজের আইডি বা পেজ ভেরিফায়েড করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেননি। এখন তিনি মনে করছেন, “ভেরিফায়েড করিয়ে রাখলে এমন প্রতারণা হতো না।”
নকল পেজটিতে বর্তমানে অনুসারীর সংখ্যা ৬ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি। শাবনূর জানিয়েছেন, তিনি এই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন এবং পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করবেন। তিনি আরও বলেন, “আমি নিশ্চিত হয়েছি, বাংলাদেশ থেকেই কেউ এই পেজ পরিচালনা করছে এবং এর সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন প্রতারকদের পরিচয় প্রকাশ করে।”
শাবনূরের প্রকৃত নাম কাজী শারমীন নাহিদ নূপুর। তিনি ১৯৯৩ সালে ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন এবং তার একমাত্র ছেলে আইজান নিহান সেখানে পড়াশোনা করছে।
উল্লেখ্য, দেশের আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফেসবুক পেজও দীর্ঘদিন ধরে অন্যের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত