আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর -১ মধুখালী বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ক্লিন ইমেজের প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ হোসাইন। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের কাছেও তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সুপরিচিত।
এদিকে ফরিদপুর চাঁর আসনের মধ্যে তিনটিতেই সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে ফরিদপুর -১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। তা পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ক্লিন ইমেজধারী’ প্রার্থীদের প্রাধান্য দিচ্ছে বিএনপি। অপকর্মে জড়িত বা বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দিচ্ছে না দলটি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এটা নিয়ে আসনভিত্তিক কাজ করেছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত, বিশেষ করে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর-পরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজধারীদের দিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই নির্বাচনি এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়েছেন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা, আছেন গণসংযোগের মধ্যে। দলের নির্দেশনা মেনে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
শোডাউনের রাজনীতি না করলেও সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর ১ (মধুখালী,বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনে ক্লিন ইমেজ প্রার্থী হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আদর্শে বিশ্বাসী, কামারখালি বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ কলেজ থেকে, বেড়ে উঠা মেধাবী নেতৃত্ব, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন সহ বিগত ৩৬ বছর বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী, সরাসরি সহযোগিতার মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।ও দলের দুঃসময়ে যার অফিসটার ছিল দলের কার্যক্রমের অগ্রণী ভূমিকা। রাজপথের লড়াকু সৈনিক,সাবেক ছাত্রনেতা কামারখালী বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ কলেজ ছাত্রদল মনোনীত এজিএস ও ভিপি।
জানা গেছে, মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এবং পাড়া-মহল্লায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মোহাম্মদ ইউসুফ হোসাইন । এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সার্বক্ষণিক।
মোহাম্মাদ ইউসুফ হোসাইন দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনে অংশ নেন। দলের ভেতর একাধিক গ্রুপিং থাকলেও তিনি তা উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ করেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কঠোর শাসনামলেও বিএনপিকে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করেতে নিজ অফিস, সময়, শ্রম,অর্থ নেতৃত্ব দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন।
তিনটি উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা নির্যাতন ও নিপীড়নমূলক মামলা হয়েছে। এ সময় নেতাকর্মীদের মামলার অনেকাংশ তদারকিসহ নেতাকর্মীরা জেল হাজতে থাকাকালীন সময়ে তাদের পরিবারের যথার্থ দেখভাল করার চেষ্টা করেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ হোসাইন । আমরা এমন নেতাই চাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে। তাকে যদি দল দলীয় মনোনয়ন দেয়, তাহলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
বিএনপির একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মী জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর ১ আসনটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ক্লিন ইমেজের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউসুফ হোসাইন কেই দেখতে চান তারা। তিনি তার কার্যক্রম দিয়ে ইতোমধ্যে স্থানীয় নেতা এবং ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় ও একজন নির্ভরযোগ্য প্রার্থী হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন। এ ছাড়াও নির্বাচনি আসনের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক কর্মকাণ্ড, অসহায় দুঃস্থদের সহযোগিতা, কেন্দ্রীয় বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত অধিকাংশ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে কেউ তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।
ফরিদপুর-১ আসনে অনেক নেতা বলেন, বিএনপি দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মোহাম্মদ ইউসুফ হোসাইন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। এমনকি তার নাম ভাঙিয়ে কোনো অন্যায় কাজ কেউ করেনি, তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তৃণমূল বিএনপির আস্থা ও ভরসার প্রতীক তিনি।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর ১ আসনে বিএনপি হতে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মোহাম্মদ ইউসুফ হোসাইন বলে , মনোনয়ন বিষয়টি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কর্তৃক নির্ধারিত একটি বিষয়। দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয়তাবাদী আদর্শের সঙ্গে মিশে কাজ করে যাচ্ছি এবং সারা দেশব্যাপী বিএনপির দুর্দিনের সময় আমি দলের পাশে ছিলাম। দলের যেকোনো প্রয়োজনে দলের সঙ্গে যেভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি, তাতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী।
তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর ১ আসনে যদি দল (বিএনপি) আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে, তাহলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই আসনে বিএনপির বিজয় সু-নিশ্চিত করব এবং দেশ গড়তে তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ।