সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে যশোরের কামরুল ইসলাম কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন—এমন অভিযোগে তোলপাড় চলছে। তুলানুরপুর এলাকার এই ব্যক্তি পুলিশের চাকরি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে এখন বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান, যদিও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
কামরুলের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় রয়েছে যশোরসহ আশপাশের জেলায়। মণিরামপুর, যশোর সদর, অভয়নগর, কুষ্টিয়া, নড়াইল, মাগুরা ও রাজশাহী থেকে বহু ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। তাদের দাবি, কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়ে কামরুল চাকরি তো দেননি, টাকাও ফেরত দেননি।
এক সময় রুটি-পাউরুটি বিক্রেতা কামরুল চাকরির নামে প্রতারণা শুরু করেন সেনাবাহিনীতে ‘চাকরি পাইয়ে দেওয়ার’ মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে। পরে গড়ে তোলেন একটি কমিশনভিত্তিক সিন্ডিকেট। তার সহযোগীদের মধ্যে রয়েছেন মনিরামপুরের পলাশ কুশারী, দুর্গাপুরের বুলবুল, বাবলাতলার বজলু ও অভয়নগরের শাহীন।
গত বছরের ৫ এপ্রিল একটি প্রতারণার মামলায় (মামলা নম্বর ৮) মণিরামপুর থানা পুলিশ কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছিল। ১২ এপ্রিল ডিবির তদন্তে তিনি আটক হন। এরপরও তার প্রতারণা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
স্থানীয়রা কামরুলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।