সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও ওয়াটার ক্যানন ব্যবহার করে। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত হন এবং শতাধিক মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানীতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বিক্ষোভ শুরুতে শান্তিপূর্ণ হলেও ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে।
পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি গুলি চালায়, এতে অনেকে আহত হন।
সিভিল হাসপাতাল, এভারেস্ট হাসপাতাল, ট্রমা সেন্টারসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের নেওয়া হয়।
সিভিল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন চন্দ্র রেজমি জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান। ট্রমা সেন্টারে আরও চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ রয়েছে।
নেপাল সরকার জানিয়েছে, অনিবন্ধিত প্ল্যাটফর্মগুলো ভুয়া আইডি, গুজব, ঘৃণাবাদ এবং সাইবার অপরাধ ছড়াচ্ছে।
সরকার এদের নিবন্ধন করার জন্য গত বুধবার পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিল। নিবন্ধন না হওয়ায় বৃহস্পতিবার টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটিকে (এনটিএ) এগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপ সামাজিক সম্প্রীতি ও সাইবার নিরাপত্তার জন্য জরুরি।
তরুণ প্রজন্ম সরকারের এ সিদ্ধান্তকে জনগণের কণ্ঠরোধ হিসেবে দেখছে।
তারা এই আন্দোলনকে নাম দিয়েছে “জেন-জি রেভলিউশন”।
সংঘর্ষ ও সহিংসতার পর কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন সংসদ ভবন, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের বাসভবনসহ একাধিক উচ্চ নিরাপত্তা এলাকায় কারফিউ জারি করেছে।
পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত, এবং দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত